সারের ব্যবস্থা :

বেশিরভাগ মৃত্তিকা শস্যের সীমিত পরিমান পরিপোষক পদার্থের যোগান দেয়। শস্যের প্রয়োজনীয় পরিপোষক পদার্থের অভাব পূরণ করতে এবং শস্যের উৎপাদন বাড়াতে সার প্রয়োগের প্রয়োজন হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মৃত্তিকার প্রাকৃতিক অবস্থার উন্নতি সাধনের জন্য সার বিশেষত জৈব সার যুক্ত করা হয়। যে ধারনা অনুসারে সার প্রয়োগের পরিমান ও ধরন নির্ধারিত হয় তা হল ১ টন শস্য, ১৫কেজি নাইট্রোজেন , ২-৩কেজি ফসফরাস এবং ১৫-২০কেজি পটাসিয়াম অপসারণ করে। এই ভিত্তি হার পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় মৃত্তিকার ধরণ, শস্যের মরসুম, প্রকারভেদ, পরিবেশ তত্ব, শস্যের শর্ত বা অবস্থা ও নিয়ন্ত্রক আবহাওয়া পরিস্থিতি এবং পরিপোষক পদার্থের দক্ষতার উপর। দক্ষ সার প্রয়োগের ধাপগুলি হল:

  • জৈব সার ব্যবহার করুন (জমির সার, মিশ্র সার, খড়, তুষ, গাছের পাতা) যেখানেই সম্ভব বিশেষ করে চারাঘর গুলিতে।
  • মৃত্তিকার ধরন ও প্রত্যাশিত উৎপাদন অনুসারে সার প্রয়োগ করুন। পথ প্রদর্শক হিসাবে সম্পূর্ণ সুপারিশ মত ফসফরাস ও পটাশিয়ামের মাত্রা প্রয়োগ করুন মূল সার হিসাবে এবং নাইট্রোজেন ২-৩ফালি। বেলে মাটির জমিগুলিতে কে প্রতি দুই ভাগে বিভক্ত করে প্রতি হেক্টরে অতিরিক্ত ১০-১৫কেজি পটাশিয়াম ব্যবহার করুন ।
  • সমস্ত পরিমান নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম এর ১/৩ ভাগ সমানভাবে মিশ্রন করুন। বীজ উৎপাদন বা প্রতিস্থাপনের ঠিক পূর্বে, সরাসরি বীজ ছড়ানো শস্যের জন্য , শস্যের গোড়া পত্তনের ১০-১৪দিন পরে যখন জমিতে জল থাকে তখন সার প্রয়োগ ভালো।
  • অবশিষ্ট নাইট্রোজেন (ইউরিয়া) প্রয়োগ করুন ২টি সমান ভাগে ভাগে উপরিভাগের শীর্ষ সজ্জা হিসাবে প্রতিস্থাপনের ২৫-৩৫ দিন পরে এবং মঞ্জুরি ধারনের সময়।
  • পাতার রং তালিকা ব্যবহার করুন- একটি সরঞ্জাম যা পাতার নাইট্রোজেন স্ট্যাটাস এবং এন এর জন্য শস্যের প্রয়োজনীয়তার মূল্যায়ন করতে পারে।
  • প্রতিষ্টিত শস্যের ক্ষেত্রে রাসায়নিক সার ব্যবহার করুন কেবলমাত্র জমা জলে এবং সমগ্র জমিতে সমানভাবে।
  • প্রথাগত লম্বা প্রকারের শস্যে উচ্চ হারে সার প্রয়োগ করবেন না।
  • অজৈব সার অবশ্যই মজুত করতে হবে শুষ্ক ও ছায়াময় পরিবেশের মধ্যে।